ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ (পর্ব চার)





                                           পর্ব চার

ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮



Image result for construction buildingImage result for construction building

পর্ব চার

আমরা সকলেই জানি ভবন নির্মাণের জন্য, ভবনের ডিজাইন এবং নকশা অনুমোদনের ক্ষেএে সরকারী বিধিমালা অনুসরণ করতে হয় । যেটি ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ নামে পরিচিত । নিন্মে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ আইনটি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে ।

ব্যবস্থা

(৪৪) “প্যারাপেট” অর্থ ছাদ বা তলের চারপাশ ঘিরে তৈরিকৃত রেলিং অথবা দেয়াল
(৪৫) “পার্কিং স্থান” অর্থ যানবাহন রাখিবার মতো আবদ্ধ বা খোলা, আচ্ছাদিত বা উন্মুক্ত যথেষ্ট আয়তনের একটি জায়গা, যাহার সহিত যানবাহন যাতায়ত উপযোগী একটি পথের মাধ্যমে বাহিরের রাস্তা সংযোগ আছে
(৪৬) “পরিকল্পনাবিদ” অর্থ যিনি পরিকল্পনা বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোওর ডিগ্রীপ্রাপ্ত ও বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব প্ল্যানার্স (BIP) এর সদস্য এবং বিধি ৪১ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত
(৪৭) “প্লাম্বিং ইঞ্জিনিয়ার” অর্থ স্নাতক স্থপতি বা প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা স্থপতি বা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী যাহার প্লাম্বিং বা সেনেটারী বিষয়ে অভিজ্ঞতা রহিয়াছে ও যিনি সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের সদস্য এবং বিধি ৪১ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত
(৪৮) “পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা” অর্থ যে কোন পয়ঃনালী, নর্দমা, সেপটিক ট্যাংক, পরিশোধন কেন্দ্র অথবা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবস্থাদি
(৪৯) “পাহাড়” অর্থ সন্নিহিত স্থান থেকে নির্দিষ্ট আয়তনের উঁচু কোন প্রাকৃতিক ভূখন্ড যাহা মাটি বা পাথরের তৈরী, প্রায়শঃই বর্তুলাকার এবং যাহার ঢাল খুব তীগ্নভাবে খাড়া নয়
(৫০) “ফরম” অর্থ এই বিধিমালার সহিত সংযোজিত ফরম
(৫১) “ফলস্ সিলিং” অর্থ করের উচ্চতার মধ্যে একটি মধ্যবর্তী অতিরিক্ত ছাদ, যাহা ভান্ডার, সার্ভিস তদারকী ইত্যাদি কাজে ব্যবহূত হয়, তবে বসবাসযোগ্য নয়
(৫২) “ফিনস্ বা লুভার (Fins or Louver)” অর্থ ইমারতের একটি খাড়া উপাদান যাহা সচরাচর সূর্য ও বৃষ্টি হইতে রক্ষা পাইবার জন্য জানালা, বারান্দা, বেলকনি ও করিডোরের বর্হিঃমুখে ব্যবহূত হয়
(৫৩) “ফিনিসড্ ফ্লোর লেভেল” অর্থ মেঝের সম্পূর্নকৃত উপরিতল
(৫৪) “ফিনিসড্ গ্রাউন্ড লেভেল” অর্থ জমির সম্পূর্নকৃত উপরিতল
(৫৫) “ফিনিসড্ সিলিং লেভেল” অর্থ ছাদের সম্পূর্নকৃত নিন্মতল;
(৫৬) “ফুটপাথ” অর্থ রাস্তার পার্শ্বে বা অন্য কোন স্থানে পায়ে হাঁটার পথ
(৫৭) “ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট” অর্থ বসবাসযোগ্য একক আবাস যাহার মধ্যে রান্নঘর, গোসলখানা, শৌচাগার, প্রসাধনকর ইত্যাদি অন্তর্ভূক্ত থাকিবে
(৫৮) “ফ্লোর এরিয়া” অর্থ দেওয়ালের ও অন্যান্য ভারবাহী কাঠামোর আনুভূমিক ক্ষেএফলসহ ব্যবহারযোগ্য ইমারতের একটি তলার ক্ষেএফল
(৫৯) ফ্লোর এরিয়া অনুপাত (Floor Area Ratio or FAR)” অর্থ জমির ক্ষেএফলের অনুপাতে ভবনে সন্নিবেশযোগ্য সম্পূর্ণ মেঝের ক্ষেএফল, যথা : একটি পটের মাঝে তৈরি সম্পূর্ণ ফ্লোর এরিয়ার যোগফলকে উক্ত পটের বিদ্যমান জমির ক্ষেএফল দ্বারা বিভাজনের ফল, যাহার ফর্মুলা নিন্মে প্রদও হইল
FAR = {সকল মেঝের সম্মিলিত ক্ষেএফল ( বিধিমালার আওতায় ছাড়যোগ্য ক্ষেএফল সমূহ ব্যতীত)}/{জমির ক্ষেএফল ( প্রযোজ্য ক্ষেএে রাস্তার জন্য ছাড়িয়া দেওয়া জমির ক্ষেএফল ব্যতীত)}

(৬০) “বসতবাড়ি” অর্থ স্বতন্ত্র বসবাস, রন্ধন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুবিধাসম্বলিত এক স্বাবলম্বী বসত ব্যবস্থা যাহা এক বা একাধিক ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত ইমারত বা ইমারতের অংশবিশেষ
(৬১) “বন্যার পানি উচ্চতা” অর্থ একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য বন্যাকালীন পানির উচ্চতা, যাহা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক নির্ধারিত
(৬২) “বসবাসযোগ্য কর” অর্থ এক বা একাধিক ব্যক্তির ব্যবহূত কর যাহা দপ্তর, লিভিংরুম, শয়ন, অধ্যয়ন বা খাওয়ার কাজে ব্যবহূত হয় তবে বাথরুম, টয়লেট, রান্নঘর, লন্ড্রি, ভান্ডার, করিডোর, প্যান্ট্রি, ভূগর্ভস্থ রুম, চিলে কোঠা, অনিয়মিত ব্যবহূত জায়গা এইরূপ বসবাসযোগ্য করের অন্তর্ভূক্ত হইবে না
(৬৩) “বহুতল ইমারত” অর্থ ১০ তলা বা ৩৩ মিটারের উর্ধ্বে যে কোন ইমারত বা ভবন, যাহাতে উচ্চতা নির্ধারনের ক্ষেএে সিড়িঁঘর, লিফট্ মেশিন রুম বা জলাধারের উচ্চতা গণ্য করা হইবে না
(৬৪) “ব্যালকনি” অর্থ ইমারতের মূল অংশ হইতে বহিঃদিকে বর্ধিত ব্যবহারযোগ্য জায়গা যাহার ভূমি পর্যন্ত বর্ধিত কোন অবলম্বন নাই এবং বাহিরের দিকে নিরেট কোন বেস্টনী দ্বারা সম্পূর্ণ আবদ্ধ নয়
(৬৫) “বিল্ডিং সার্ভিসেস” অর্থ আলো-বাতাসের চলাচল, বৈদ্যুতিক সুবিধা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, উওাপন (Heating), অভ্যন্তরীণ শব্দ (Acoustics) নিয়ন্ত্রণ, লিফট্, এস্কেলেটর ও মোভিং ওয়াক স্থাপন, পানি সরবরাহ, অগ্নি-নির্বাপণ, পয়ঃ ও পানি নিষ্কাশন, গ্যাস সরবরাহ এবং টেলিফোন সংস্থাপন ও এই জাতীয় ইউটিলিটি সুবিধার সন্নিবেশ
(৬৬) “বিদ্যমান ইমারত বা বিদ্যমান ব্যবহার” এর অর্থ এই বিধিমালা কার্যকর হওয়ার পূর্বে কতৃপক্ষ কতৃক অনুমোদিত কোন ভবন এবং তাহার ব্যবহার

(৬৭) “বিশেষ মনোনীত এলাকা” অর্থ প্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক গুরত্ব বহনকারী এবং মহাপরিকল্পনার অধীনে প্রস্তুত ডিটেইলড্ এরিয়া প্ল্যান (DAP) এ নির্দেশিত এলাকা
(৬৮) “বিশেষ প্রকল্প” অর্থ এই বিধিমালার আওতায় তালিকাভূক্ত বা অনুরূপ বৃহদায়তন আকৃতির বা বিশেষ ধরনের ইমারত বা স্থাপনা
(৬৯) “ভূমি আচ্ছাদন” অর্থ ইমারত দ্বারা আবৃত জমির পরিমাণ যাহা শতাংশ হিসাবে উল্লেখিত হইবে, যথা

চলবে——–


আমরা সকলেই জানি ভবন নির্মাণের জন্য, ভবনের ডিজাইন এবং নকশা অনুমোদনের ক্ষেএে সরকারী বিধিমালা অনুসরণ করতে হয় । যেটি ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ নামে পরিচিত । নিন্মে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ আইনটি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে ।

Related Posts
Previous
« Prev Post