যেসব আদালতে দেওয়ানি মামলায় করা যায়


                                             যেসব আদালতে দেওয়ানি মামলায় করা যায়
 
Image result for law & judge
Image result for law & judge Image result for law & judge
 
 

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে ও দেওয়ানি মামলা পরিচালিত হয়। তবে নিম্ন আদালতে মামলার রায়ের পর কেবল উচ্চ আদালতে আপিল অথবা রিভিশনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা পরিচালিত হয়।

জেলা জজ আদালতের এখতিয়ার

জেলা জজ আদালতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় মামলা পরিচালিত হয়। এ আদালতে দেওয়ানি মামলা পরিচালিত হলে তাকে দেওয়ানি আদালত এবং ফৌজদারি মামলা পরিচালিত হলে তাকে ফৌজদারি আদালত বলে। সাধারণত এক লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যমানের মামলার আপিল জেলা জজ আদালতে দায়ের করতে হয়। জেলা জজ আদালত তাঁর নিম্ন আদালতের মোকদ্দমা স্থানান্তর সম্পর্কিত দরখাস্ত, রিভিশন শুনানি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করতে পারেন। পারিবারিক আদালতের রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আপিল গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করে থাকেন।

অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত

অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারিক ক্ষমতা জেলা জজের সমান। তবে কোনো মোকদ্দমা বা আপিল এ আদালতে সরাসরি দায়ের করা যায় না। জেলা জজ আদালতে দাখিল করলে জেলা জজ আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য এ আদালতে প্রেরণ করেন। অতিরিক্ত জেলা জজের কোনো প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই।

যুগ্ম জেলা জজ আদালত

প্রত্যেক জেলায় এক বা একাধিক যুগ্ম জেলা জজ থাকেন। তিনি দেওয়ানি মোকদ্দমার সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারক। এ আদালত চার লাখ এক টাকা থেকে অসীম মূল্যমানের বিষয় বস্তুর মূল মোকদ্দমা গ্রহণ ও বিচার নিষ্পত্তি করতে পারেন।

সিনিয়র সহকারী জজ আদালত

দেশের প্রতিটি জেলায় এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ আদালত রয়েছে। সম্পত্তি, অফিস, ব্যক্তিগত অপকার, ক্ষতিপূরণ ও ধর্মীয় অধিকারসংক্রান্ত যাবতীয় মোকদ্দমা সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ আদালতে দায়ের করা হয়। এ আদালত দুই লাখ এক টাকা থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের মূল মোকদ্দমা গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করতে পারেন।

সহকারী জজ আদালত  

এ আদালতে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা মূল্যমানের বিষয় বস্তুর ওপর মামলা দায়ের করা যায়। এ আদালতের নিজস্ব কোনো আপিল এখতিয়ার নেই। সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ আদালতে স্বত্ব ঘোষণা, স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, চুক্তি কার্যকর, দলিল, চুক্তিপত্র, লিখিত অঙ্গীকারপত্র ইত্যাদি রদ ও রহিত, যেকোনো কর্তৃপক্ষের অবৈধ আদেশ রদ ও রহিত, দখল পাওয়া, সম্পত্তি বা অফিস সংক্রান্ত কোনো অধিকার সম্পর্কে ঘোষণা পাওয়া, টাকা আদায়, সম্পত্তি অগ্রক্রয়, নির্বাচন সংক্রান্ত মোকদ্দমা দায়ের করা যায়।


Related Posts
Previous
« Prev Post